ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়, যা ফিলিস্তিনিদের প্রতি বাংলাদেশের গভীর সহানুভূতি এবং সমর্থন প্রকাশ করে। এ কর্মসূচি দেশের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং ধর্মীয় সংগঠনের মানুষের একত্রিত হওয়ার একটি মহান উদাহরণ।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিটি আয়োজন করেছে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল ফিলিস্তিনের গাজার মানুষের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রকাশ করা এবং ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো। বিশ্বজুড়ে যখন ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ চলছে, তখন বাংলাদেশও তাদের পাশে দাঁড়িয়ে এই প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি। ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী, জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ, এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির পক্ষ থেকে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, এবং আব্দুস সালাম আজাদ। জামায়াতের পক্ষ থেকে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানও উপস্থিত ছিলেন।
এ সমাবেশটি ছিল ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি বাংলাদেশের গভীর সহানুভূতি প্রদর্শনের একটি অসাধারণ উদাহরণ। সকল উপস্থিতি একযোগভাবে গাজার জনগণের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেন, এবং তারা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একসঙ্গে প্রতিবাদ জানান। এমনকি জামায়াত ও বিএনপি দলের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় নেতারা, সবাই এ কর্মসূচিতে অংশ নেন, যা দেশে আন্তর্জাতিক সহানুভূতির এক দৃঢ় বার্তা পৌঁছে দেয়।
এই কর্মসূচি শুধু বাংলাদেশের জনগণের সহানুভূতির প্রতিফলন নয়, বরং এটি সারা বিশ্বে ফিলিস্তিনের মানুষের অধিকার ও শান্তিপূর্ণ অবস্থানের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সহানুভূতির এবং শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে, যা ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে বিশ্বব্যাপী সমর্থন জোরদার করবে।