প্রতি বিঘায় ফলন ২৮ মণ ধান পেয়ে খুশি কৃষক

whatsapp sharing button

খুলনা: খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের হরিণটানা গ্রামে প্রথমবারের মতো চাষ করা হয়েছে ব্রি-১০৮ জাতের ধান। পুরো উপজেলা জুড়ে এটাই প্রথম। ওই জাতের ধানে বিঘায় ২৮ মণের মত ধান পেয়েছেন কৃষক তৈয়েবুর রহমান। 

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে হরিণটানা গ্রামে ওই ধানের মাঠ দিবস পালন করা হয়। সেখানে তৈয়েবুর রহমান এ কথা জানান। তিনি বলেন, একই রকমের চাষ পদ্ধতিতে ধান পেয়েছেন অনেক বেশি। যেখানে বিঘাপ্রতি ধান পাওয়া যায় ২০-২২ মণ, সেখানে ব্রি-১০৮ জাতের ধান থেকে পেয়েছেন ২৮ মণের মতো। তার খেতের ধানের ফলন দেখে আশপাশের  অন্যান্য কৃষকরা অবাক হয়েছেন। আগামীবছর ওই ধান লাগাবেন বলে অগ্রিম বীজের তাগাদা দিয়ে রেখেছেন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) সাতক্ষীরা আঞ্চলিক কাযালয় আয়োজিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বটিয়াঘাটা কৃষি কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকী ও ব্রি সাতক্ষীরা আঞ্চলিক কাযালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. লিয়াকত হোসেন মণ্ডল। সভাপতিত্ব করেন ব্রি খুলনার প্রধান মো. ইফতেখার উদ্দিন জিতু।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যা বাড়ছে, কৃষি জমি কমে যাচ্ছে এ কারণে খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আর খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতেই বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে ব্রি-১০৮ জাতের ধান উদ্ভাবন করা হয়েছে।

১০০ নিচের জাতের ধানগুলোকে এখন বুড়ো বলা হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে চাষ করায় এসব জাতের ধান এখন আর আগের মতো ফলন দেয় না। এ কারণে ব্রি-১০৮ মতো উচ্চফলনশীল জাতের ধান লাগাতে হবে।