পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। ৮৮ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন বলে ঘোষণা দিয়েছে ভ্যাটিকান। এক বিবৃতিতে ভ্যাটিকান জানিয়েছে, ২ এপ্রিল ইস্টার সোমবার ৮৮ বছর বয়সে ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্টায় নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি।
বিশ্বনেতারা পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে পোপের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। পোস্টটিতে বলা হয়েছে, “শান্তিতে ঘুমান, পোপ ফ্রান্সিস”।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের সাথে পোপের সাক্ষাতের একটি ছবি এবং শনিবার জেডি ভ্যান্সের সাথে পোপের সাক্ষাতের আরেকটি ছবি এই পোস্টে দেয়া হয়েছে।
ডাচ প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফ বলেছেন, “পোপ ফ্রান্সিস সর্বোপরি জনগণের একজন মানুষ ছিলেন।”
ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টা মেটসোলা পোপের হাসির প্রশংসা করে বলেছেন, “তার সংক্রামক হাসি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের হৃদয় জয় করেছিল।”
ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন বলেছেন, ” পোপ তার নম্রতা ও কম ভাগ্যবানদের প্রতি পবিত্র ভালোবাসা দিয়ে ক্যাথলিক চার্চের বাইরেও লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।”
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে “গভীরভাবে ব্যথিত” জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক পোপ ফ্রান্সিসকে একজন “ভালো, উষ্ণ এবং সংবেদনশীল মানুষ” হিসেবে স্মরণ করেছেন।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি বলেছেন, পোপ ফ্রান্সিস “শান্তি, ভালোবাসা এবং করুণার কণ্ঠস্বর ছিলেন।”
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ “সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ” মানুষের প্রতি পোপ ফ্রান্সিসের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে তিনি বলেছেন, “পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে আমি শোকাহত। শান্তি, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের প্রতি তাঁর অঙ্গীকার এক গভীর দৃষ্টান্ত রেখে গেছে। শান্তিতে থাকুন।”
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ পোপের “অসীম সহানুভূতিশীলতা ও করুণার” প্রশংসা করেছেন।
সুইস প্রেসিডেন্ট কারিন কেলার সাটার বলেছেন, পোপ ফ্রান্সিস একজন “মহান আধ্যাত্মিক নেতা, শান্তির জন্য অক্লান্ত একজন প্রবক্তা ছিলেন।”
স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার জন সুইনি পোপকে “শান্তি, সহনশীলতা এবং পুনর্মিলনের জন্য একটি কণ্ঠস্বর” হিসাবে বর্ণনা করেছেন। সূত্র: বিবিসি।