জাপানে এটি একটি আশ্চর্যজনক দৃশ্য। সবচেয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রধান পণ্য চাল কিনতে মরিয়া ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে।
এই সপ্তাহে জাপানের বিভিন্ন স্থানে পরিস্থিতি ছিল এমন, যখন গ্রাহকরা সরকার কর্তৃক জারি করা সস্তা মজুদ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। মন্ত্রীরা জরুরি মজুদ থেকে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সরাসরি শস্য বিক্রি শুরু করার পর সপ্তাহান্তে চালের জন্য দীর্ঘ লাইন দেখা দিতে শুরু করে।
এর ফলে জাপানীদের এওন এবং ইতো-ইয়োকাডো সহ প্রধান দোকানগুলির বাইরে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। গত বছর উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ফসল কাটার সময় চালের দাম দ্বিগুণ হওয়ার পরে এটি ঘটেছে।
এক ক্রেতা বলেছেন যে, তিনি সরকারের সাহায্যের উপর নির্ভর করছেন। তিনি রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, তার প্রায় সব চাল ফুরিয়ে গেছে, এবং তিনি বিকল্প হিসাবে রুটি ও নুডলস খাচ্ছেন।
এখন ৫ কেজি সরকারি চাল প্রায় ১৪ ডলারে পাওয়া যাচ্ছে – যা দোকানের নিয়মিত দামের প্রায় অর্ধেক। কৃষিমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বলেছেন যে দেশীয় উৎপাদন রক্ষার জন্যও পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘যদি এই উচ্চ মূল্য নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলতে থাকে, তাহলে দোকানগুলো আমদানি করা চালে ভরে যাবে। আমি আবারও বলতে চাই যে এটি যাতে না ঘটে সেজন্য আমরা আমাদের মজুদকৃত চাল ছেড়ে দিচ্ছি।’
কোইজুমি বলেছেন যে, প্রয়োজনে সরকার তার সমস্ত মজুদ ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। তবে সরকারি চাল বিক্রি নিয়মিত খুচরা মূল্যের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলবে তা দেখার বিষয়।
এখন এই বছরের ফসল অন্তত ভালো হওয়ার আশা করা হচ্ছে। চালের আমদানিও বেড়েছে কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্যই রয়ে গেছে, জাপান দেশীয় চাষীদের রক্ষা করার জন্য উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে। সূত্র: রয়টার্স।