খুলনায় বিএনপির ইফতার ও দোয়া মহফিলে বক্তারা; বিএনপি একটি সুন্দর মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়

whatsapp sharing button

খবর বিজ্ঞপ্তি: খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের পতনের পর অন্তর্বরতী সরকারকে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে আস্থা রেখেছে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য। তাই দ্রুত সময়ের ভেতরে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই সকল রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কার করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে পতিত হাসিনার দোসররা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। গত ১৬ বছর পর আমরা প্রথম বারের মতো উন্মুক্তভাবে কোনো খোলা জায়গায় বসে ইফতারির আয়োজন করতে পারছি। ওই সময়ে আমরা উন্মুক্তভাবে কোনো জায়গায় বসে একত্র হয়ে সভা মিটিং এমনকি দোয়ার অনুষ্ঠানও করতে পারিনি। স্বৈরাচার সরকার আমাদেরকে করতেও দেয়নি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। বিএনপি একটি সুন্দর মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়।

শনিবার (২২ মার্চ) ইউনাইটেড ক্লাব মিলনায়তনে খুলনা সদর থানার অর্ন্তগত ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার ও দোয়া মহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন আর কোনো টালবাহানা নয়, দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণা দিন। তাহলে আপনারাও সম্মানের সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারবেন। জনগণ ও দেশে ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পাবে উল্লেখ করে বলেন, রাষ্ট্রকাঠামোর বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্র করছে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা।

ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে সবাইকে দৃঢ় হাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তুহিন বলেন, আমাদের সকলকে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে। আগামীতে বাংলাদেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করার লক্ষ্যে ও দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সকলকে ঐকবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পতিত স্বৈরাচার হাসিনা সরকার গণতন্ত্র হত্যা করে মনুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে সংবিধান থেকে নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করেছিল। নির্বাচন ব্যবস্থাকে এমন অবস্থা করছিল আওয়ামী লীগ কর্মীরাও ভোট দিতে গিয়ে দেখতো তাদের ভোট অন্য কেউ প্রয়োগ করেছে।

আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার ২০৪১ সালের স্বপ্ন দেখেছিল তারা ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরলস পরিশ্রমে দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলনে মামলা হামলা ও নির্যাতন নিপীড়ন উপেক্ষা করে দলের নেতাকর্মীরা গত জুলাই আগস্টে ১ দফার দাবিতে গণআন্দোলনে হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়। বিএনপি কোনো বিশৃঙ্খলাকারী চাঁদাবাজি দখলদারি ও লুটতরাজকে প্রশ্রয় দেয় না এবং যারা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন তাদেরকেও বিএনপি কোনো অবস্থাতেই প্রশ্রয় দিবে না। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা সতর্ক হয়ে যান! সাবধান হয়ে যান! বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সহিত যারা জড়িত থাকবে, তাদের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স।

এই বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা চাঁদাবাজি লুটতরাজ দখলদারি করে, তারা সমাজের শত্রু। তারা আমাদের দলের কেউ হতে পারে না।

২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু সাঈদ শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর বিএনপির সভাপতি কে এম হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ফরিদ আহমেদ, মজিবর রহমান, শফিকুল ইসলাম শফি, মিজানুর রহমান মিলটন, কেএম এ জলিল, নাসির উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, রফিকুল ইসলাম, আলতাফ খান, জাহাঙ্গীর আলম, মিজানুর রহমান, মো. মাসুদ, মনির খান, হাসান আলী, রুবেল জমাদ্দার, নজরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, সাইদুল ইসলাম, মো. ফারুক, নুরুল আলম বাদল, শরীফ আতিয়ার রহমান, সিরাজুল ইসলাম, আজিজুল মৃধা, আলহাজ্ব নুরুল আমিন, শাহ আলম, শাহাদাৎ হোসেন, আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, মো. দুলাল, আবির হোসেনসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।