নাহিদ রানার বোলিংয়ে দিনের শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। শেষদিকে দ্রুত উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মাঝে শেন উইলিয়ামসের ফিফটি এবং ছোট কিন্তু কার্যকর অবদানে দলকে টেনেছেন ওয়েসলি মেদেভেরে, নিয়াসা মায়োভো, রিচার্ড এনগারাভা। বাংলাদেশকে অনায়াসেই টপকে প্রথম ইনিংসে বড় লিড পেল জিম্বাবুয়েও।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের লিড ৮২ রানের। বাংলাদেশের ১৯১ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষ নেশনে ৮০.২ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ২৭৩ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।
৫২ রানে ৫ উইকেট নেন মিরাজ। রানা ৭৪ রানে ধরেন ৩ শিকার। একটি করে নেন হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ। তাইজুল ইসলাম একটি উইকেটও পাননি।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিনা উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে দিন শুরু করে জিম্বাবুয়ে। এদিন বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার নাহিদ রানা। বেন কারানকে ১৮ রানে শিকার করেন তিনি। শর্ট লেগে নিচু হয়ে আসা দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মুমিনুল হক। এর মধ্য দিয়ে মিরাজকে টপকে এককভাবে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ এখন তারই (৪১)।
এরপর ব্রায়ান বেনেটকে ৫৭ রানে থামান রানা। তিন নম্বরে নামা নিক ওয়েলচকে ২ রানে আউট করেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে ৮ রানে বেশি করতে দেননি রানা।
১২৯ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর জুটি বেঁধে ৪৮ রান যোগ করেন সিন উইলিয়ামস ও ওয়েসলি মাধভেরে। উইলিয়ামস ৫৯ ও মাধবেরে ২৪ রানে আউট হন।
নিয়াশা মায়াভো করেন ৫৪ বলে ৩৫ রান। ওয়েলিংটস মাসাকাদজা ৬ রান করেন ৪২ বলে।
শেষ দুই উইকেটে জিম্বাবুয়ে তোলে মহামূল্যবান ৫০ রান। তাতে বেশি অবদান এনগারাভার। ৪৪ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি।
শেষ ব্যাটার ভিক্টোর নিয়াউচিকে এক্সট্রা কাভারে তাইজুল ইসলামের ক্যাচে পরিণত করে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১১তম ৫ উইকেট পূর্ণ করেন মিরাজ।
কয়েকটি ক্যাচ ঠিকঠাক নিতে পারলে জিম্বাবুয়েকে গুটিয়ে দেওয়া যেত আরও দ্রুত। হাসান মাহমুদের বলে স্লিপে মায়াভের ক্যাচ নিতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। তখন মায়োভো ছিলেন ১৩ রানে। শেষ দিকে প্রথম স্লিপে নিউয়াউচির ক্যাচ ছাড়েন সাদমান ইসলাম।
লাঞ্চের পর ফিল্ডিংয়ে নামেননি জাকের আলি। তার জায়গায় কিপিং করেছেন বদলি ফিল্ডার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৯১
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৮২.২ ওভারে ২৭৩ (বেনেট ৫৭, কারান ১৮, ওয়েলচ ২, উইলিয়ামস ৫৯, আরভাইন ৮, মাধেভেরে ২৪, মায়াভো ৩৫, মাসাকাদজা ৬, এনগারাভা ২৮*, মুজারাবানি ১৭, নিয়াউচি ৭; হাসান ১৭-৪-৫৫-১, নাহিদ ১৮-৩-৭৪-৩, খালেদ ১৫-৫-৩০-১, মিরাজ ২০.২-৫-৫২-৫, তাইজুল ১০-০-৫৩-০)