কেসিসির উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে নাগরিক সেবার অবনতি, অভিযোগ বিএনপির

whatsapp sharing button

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে মহানগরীর নাগরিক সেবার অবস্থা চরম অবনতি ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

সোমবার (১৬ জুন) রাতে এক প্রেস বিবৃতিতে খুলনা বিএনপি নেতারা গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ২৭ এপ্রিল দাবি জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কেসিসির পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, মহানগরীর বহু এলাকার রাস্তার কাজ দীর্ঘদিন ধরে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এতে নগরজুড়ে তীব্র যানজট এবং জনদুর্ভোগ নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। এর পাশাপাশি ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগেভাগে ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো উদ্যোগ না থাকায় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, মশক নিধনে ব্যবহৃত ফগার মেশিনের স্প্রে কার্যকর না হওয়ায় কুন্ডলীধোঁয়ার মধ্যেই মশার দল ওড়াউড়ি করছে, যা স্পষ্টভাবে কেসিসির ব্যর্থতা এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নগরীতে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশার অনিয়ন্ত্রিত চলাচল নগর ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। অনুমোদিত সংখ্যার চেয়ে বহুগুণ বেশি ইজিবাইক ও রিকশা চলাচলের কারণে মোড়ে মোড়ে যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়ছে। কেসিসি যেখানে মাত্র ২ হাজার ইজিবাইক চালানোর অনুমোদন দিয়েছে, বাস্তবে সেখানে প্রায় ২০ হাজার ইজিবাইক এবং অনুমোদিত ১৭ হাজার রিকশার বিপরীতে প্রায় ৩০ হাজার রিকশা চলাচল করছে।

নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, প্রশাসক নিয়োগের পরও তিনি শুধুমাত্র অফিস কেন্দ্রিক কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ থাকছেন। তিনি মাঠে না গিয়ে নাগরিক দুর্ভোগের বাস্তবচিত্র দেখার সুযোগ হারাচ্ছেন। ফলে জনগণের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে।

তারা দ্রুত সড়ক মেরামত, কার্যকর ডেঙ্গু দমন কার্যক্রম গ্রহণ, অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীর জন্য কার্যকর ও টেকসই নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য কেসিসিকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান।

বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন এবং জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম প্রমুখ।