ফরিদপুরে ফারাবী ডিলাক্স পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যাওয়ার ঘটনায় নিহতের বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন।
আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর সদরের জোয়াইড় এলাকার জোবায়দা-করিম জুটমিল সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদউজ্জামান জানান, এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুইজন নারী ও চারজন পুরুষ এবং এক শিশু রয়েছে। এদের সকলের পরিচয় পাওয়া গেল।
নিহতদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৬জনের পরিচয় পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন, জেলার নগরকান্দা উপজেলার শেয়ারকান্দি গ্রামে জোয়ার সরদার (৭০), তার ছেলে ইমান সদ্দার (২৫), সন্তোষী এলাকার ভারতী সরকার (৪২), কাঠিয়া বড়গ্রামের দিপা খান (৩৬) ও লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার জহির উদ্দিনের পুত্র আজিবর (৪৬), ফরিদপুর জেলা সদরের হাজিগঞ্জ এলাকার আলম শেখ (৪৬)। এদের মধ্যে নিহত শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা-ফরিদপুরগামী ঢাকা মেট্রো-জ-১১-০০৬৬ ফারাবী ডিলাক্স ফরিদপুর আসার পথে একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের জোবায়দা-করিম জুটমিল সংলগ্ন জোয়াইড় এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটিতে সজরে আঘাত লেগে উল্টে খাদে পড়ে যায়।
এ সময় একটি বিদ্যুতের পিলারের মধ্যে বাসের একটি অংশ ঢুকে যায়। বাসের মধ্যে ৪০জন যাত্রী ছিল বলে ধারণা করছে উদ্ধারকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক ভাবে ৫জনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুইজন মারা যায়। এ ঘটনায় আরো ১০-১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ইনকিলাবকে জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসের নিচে চাপা পড়ে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ইনকিলাবকে জানান, গাড়িটি দ্রুতগতির ছিল একই সাথে আরেকটি দ্রুত কোন যানকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে একটি বিশ্বস্ত সূত্র ইনকিলাবকে জানিয়েছেন দূর্ঘটনায় পতিত হওয়া বাসটি বাসের ড্হেরাইবার না চালিয়ে হেল্পার চালইতে ছিল বলে অপরিপক্কতায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য দুর্ঘটনার সময় সেনাবাহিনীর লোকেরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্হলে পৌঁছে গেলে কোন লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। তবে এলাকাবাসী যথেষ্ট আন্তরিক থাকায় আহতরদের স্হানীয় হাসপাতালে পাঠানো সম্ভব হয়েছে। অনেকের স্বজন এখনও তাদের স্বজনদের দুর্ঘটনার খবর পায়নিনএই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরেজমিনে পরিদর্শন কালে দেখাযায়,৫৫-৬০ বছর বযসী এক নারীর মরন যন্ত্রণায় কাতারেলও তার কোন স্বজনের দেখামেলেনি।