মাছের খাবার, পানির গুনগত মান মনিটরিং করবে মোবাইল অ্যাপ

whatsapp sharing button

বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুর রউফ বলেছেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটিয়ে দেশের মৎস্য খামারগুলিকে আধনিকায়ন করে মৎস্য উৎপাদনে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে চাই। যেখানে খামারে মৎস্য খাবার, পানির গুণাগুণ ও অন্যান্য ইলেকট্রিক বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ইন্টারনেট এবং মোবাইল এ্যাপভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং করা হবে। 

তিনি শুক্রবার (২০জুন) সকাল সাড়ে ১০টায়‌ গল্লামারী মৎস্য উৎপাদন খামার খুলনার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন। 

বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (১ম পর্যায়) জেলা পর্যায়ের আঞ্চলিক কর্মশালাটি খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় আয়োজন করে। কর্মশালার শুরুতে জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান সকল শহীদ ও আহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ মশিউর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ২) মোঃ আনোয়ার কবির, খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান,  মৎস্য অধিদপ্তর খুলনার সহকারী পরিচালক মোস্তফা আল আজিজ। 

এ কর্মশালার মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের মৎস্য খামারগুলোর উন্নয়ন এবং মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। বক্তারা বলেন, মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, খামারগুলোর কার্যকারিতা বাড়ানো এবং কর্মশালার মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, মৎস্য চাষীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা। মৎস্য খামারগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা। মৎস্য খামারগুলোর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা। খামার ব্যবস্থাপনার আধুনিক কৌশল, উন্নত মানের পোনা উৎপাদন, সরবরাহ, রোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রতিকার, খামারগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বাজারজাতকরণ কৌশল শক্তিশালী হবে এবং জাতীয় মৎস্য উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। 

অনুষ্ঠান সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন বটিয়াঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তামোঃ সেলিম সুলতান। কর্মশালায় মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক এইচএম আলাউদ্দিন, শেখ মাহাতাব উদ্দিন, মৎস্য চাষী মঈনুল ইসলাম, শেখ হারুন, কৃষ্ণপদ, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।