পবিত্র ঈদ-উল-আজহা আগামী ৭ জুন শনিবার। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব ঘিরে খুলনায় কোরবানির পশুর হাটগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বসেছে ২২টি অস্থায়ী পশুর হাট, যেগুলোতে ক্রমেই বাড়ছে জনসমাগম ও পশু কেনাবেচার গতি।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, খুলনায় এবার কোরবানির জন্য ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩১টি গবাদিপশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যেখানে চাহিদা ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৮টি।
ফলে প্রায় ৬ হাজার ৭০০টির মতো পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও খুলনায় পশুর যোগান চাহিদার তুলনায় বেশি, যা বাজার স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হবে।
খুলনার ৯টি উপজেলায় হাটগুলো বসছে ভিন্ন ভিন্ন দিনে। রূপসা, দিঘলিয়া, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, তেরখাদা, ফুলতলা, কয়রা, বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলায় এসব হাটে গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে জোড়াগেট পশুর হাটটি সবচেয়ে বড় এবং এটি ১ জুন থেকে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত চলবে।
প্রতিটি হাটে প্রশাসন, পুলিশ ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পশু পরীক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সনদ ছাড়া কোনো পশু বিক্রি করতে না দেওয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। হাটে মোতায়েন থাকবেন ভেটেরিনারি চিকিৎসক, যারা পশুর স্বাস্থ্য সনদ প্রদান করবেন।
এ বছর দেশি গরু-ছাগলের সরবরাহ বেশি থাকায় বাজারে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রিত থাকবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। তবে ভারতীয় পশুও কিছু হাটে দেখা যাচ্ছে, যা ক্রেতাদের মধ্যে ভিন্নধর্মী পছন্দ তৈরি করছে। শহর ও গ্রামের ক্রেতারা এবার স্থানীয় হাটকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিভিন্ন হাটের নির্দিষ্ট দিন অনুযায়ী, শুক্রবার বটিয়াঘাটার ভান্ডারকোট, কয়রার বাগালি ও রূপসার আমতলায়, শনিবার কয়রার ইসলামপুর, রোববার ফুলতলা ও পাইকগাছার চাঁদখালিতে পশুর হাট বসবে। এছাড়া সপ্তাহজুড়েই বিভিন্ন স্থানে চলবে হাট।
সবমিলিয়ে খুলনাজুড়ে ঈদ-উল-আজহাকে কেন্দ্র করে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
পশুর হাটে নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।