চেন্নাইয়ের রাস্তায় হাসিনা! যা বলছে রিউমর স্ক্যানার

whatsapp sharing button

ভারতের অন্যতম ব্যস্ত শহর চেন্নাইয়ের রাস্তায় প্রকাশ্যে দেখা মিলেছে সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধান হাসিনার, এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয় সম্প্রতি। যা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী দোসররা বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে পোষ্ট করতে থাকেন। তাদের দাবী অনুযায়ী, ভারতের চেন্নাই শহরে অবস্থিত মহাত্মা গান্ধী হাসপাতালে সর্বোচ্চ সরকারি নিরাপত্তায় তিনি চোখের পরীক্ষা করাতে গেছেন।

ফ্যাসিস্ট হাসিনা গত বছরের ৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে অনেকটাই নিরিবিলি আত্মগোপনে রয়েছেন। ভারত সরকারও কখনো তার লোকেশন প্রকাশ্যে বলেনি নিরাপত্তার খাতিরে। তবে ব্রিটিশ একটি গণমাধ্যমের তথ্যমতে, একবার হাসিনাকে দিল্লির লোদি গার্ডেনে দেখা গিয়েছিলো। দিল্লিতেই মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এর সাথে বসবাস করছেন তিনি এমনটিও জানা যায় সেই প্রতিবেদনে। এরপর আর কখনোই হাসিনাকে আর কোথাও প্রকাশ্যে জনসম্মুখে দেখা যাওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে এবার চেন্নাইয়ের রাস্তায় হাসিনাকে দেখা যাওয়ার ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে সত্যতা যাচাই করেছে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট চেকিং নেটওয়ার্ক, রিউমর স্ক্যানার। তাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, চিকিৎসার জন্য ভারত সরকারের নিরাপত্তায় চেন্নাইয়ের মহাত্মা গান্ধী হাসপাতালে শেখ হাসিনার যাওয়ার দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। মূলত যে ভিডিওটি হাসিনাকে চেন্নাইয়ে দেখা গেছে বলে প্রচার করা হয়েছে, সেটি ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের জন্য হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছানোর পর করা হয়েছিলো।

সেসময় তৎকালীন ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী হাসিনা কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে টানা ১১ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়েছিলেন। সেই সফরে কানাডার মন্ট্রিলে পঞ্চম রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গ্লোবাল ফান্ড (জিএফ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আলোচিত ভিডিওটি হাসিনা নিউ ইয়র্কে পৌঁছালে ধারণ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে রিউমর স্ক্যানার।

অন্যদিকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিগত ১৬ বছর আর তার বেলা ফুরাবার সময় ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে যেভাবে নৃশংসতা দেখিয়ে হত্যা করেছে প্রায় দেড় হাজার মানুষ সে কি আর প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর সাহস করবে? চোরের মতো লেজ গুটিয়ে নির্লজ্জ বেহায়ার মতো দিল্লির কোন এক বাড়িতে অবস্থান করছেন হাসিনা এমনটিই জানা যাচ্ছে নির্ভরযোগ্য সূত্রে।